হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তার পটভূমি ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন কোম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও খ্যাতনামা চিন্তাবিদ হুজ্জাতুল ইসলাম ড. আহমাদ হুসাইন শরিফি।
তিনি এ নির্দেশনাগুলোকে আখ্যা দিয়েছেন “সাতটি বেলায়ী নির্দেশনা”—যা এক বিপ্লবী আগামীর রণকৌশল।
সাতটি বেলায়ী নির্দেশনা:
১. জাতীয় ঐক্য সংরক্ষণ: সমগ্র জাতির ওপর অর্পিত সর্বাগ্রে ও মৌলিক দায়িত্ব। ইরানের জাতীয় ঐক্যই হলো তার বিপ্লবী শক্তির মূল ভিত্তি।
২. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে গতি: দেশের জ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা—বিপ্লবী অভিযাত্রার বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ড শক্তিশালী করতে হবে।
৩. ইরান ও ইরানিদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা: বক্তা, লেখক ও চিন্তাবিদদের প্রতি আহ্বান—গ্লানির সংস্কৃতি নয়, গর্ব ও স্বকীয়তার ভাষা ও চিন্তা গড়ে তুলতে হবে।
৪. জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি: সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের প্রতি আহ্বান—সবচেয়ে উন্নত নিরাপত্তা সরঞ্জামে সজ্জিত হতে হবে।
৫. কার্যকর প্রশাসন ও দৃঢ় বাস্তবায়ন: রাষ্ট্রীয় নির্বাহী সংস্থাগুলোর প্রতি নির্দেশ—কাজে আন্তরিকতা, তদারকি ও সুষ্ঠু সমাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৬. আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশ ও নৈতিক জিহাদ: আলেমদের প্রতি আহ্বান—জনগণকে ধৈর্য, প্রশান্তি ও স্থিরতার পথে দৃঢ় রাখতে হবে।
৭. বিপ্লবী চেতনা, উৎসাহ ও সচেতনতা সংরক্ষণ: বিশেষভাবে যুবসমাজের উদ্দেশে বার্তা—ইসলামী বিপ্লবের প্রাণশক্তিকে সচল ও উজ্জীবিত রাখতে হবে।
এই বার্তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য
ড. শরিফি লিখেছেন, এই সাত দফা বার্তা আসলে একটি 'ঐশী নির্দেশনা'র শামিল। এটি এমন এক যুগে এসেছে, যখন পশ্চিমা পরাশক্তি ও জায়োনিস্ট গোষ্ঠী ইসলামি ইরানের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক মাত্রায় চাপ, সাইবার ও সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত। কিন্তু এই প্ররোচনা ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ নেতার দৃঢ় ও প্রজ্ঞাপূর্ণ দিকনির্দেশ প্রমাণ করে: “এই আরোপিত বৈশ্বিক যুদ্ধ আমাদের বিপ্লবী মনোবলকে বিন্দুমাত্র দুর্বল করতে পারেনি; বরং এটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের শক্তির ভিত্তিকে আরও সুদৃঢ় করেছে এবং জাতির এগিয়ে চলার প্রত্যয় আরও গভীরতর হয়েছে।”
আপনার কমেন্ট